বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে চার ঘন্টা ঢাকা-খুলনা-মোংলা মহাসড়কে সড়ক অবরোধ করেছেন জেলাবাসী। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ফকিরহাটের টাউন নওয়াপাড়া ও কাটাখালি মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাগেরহাট জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আয়োজনে ট্রাক দাঁড় করিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, আগামী রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পুনরায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
অবরোধের কারণে মোংলা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
এ সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, জামায়াত নেতা মাওলানা তৈয়বুর রহমানসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করেন।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে চারজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কারিগরি টিম। ৩০ জুলাই এ প্রস্তাব প্রকাশের পর থেকেই জেলায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। তারা বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান, ঢাকায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ অনুষ্ঠিত হলো অবরোধ কর্মসূচি।
কমিটির নেতারা বলেন, “নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি না মানলে আমরা কমিশনের দফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও ঘেরাও কার্যক্রম চালাবো।”
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে একাধিক নোটিশ জমা পড়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট ঢাকায় কমিশনের দফতরে এসব নোটিশের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা গেজেট/এসএস